বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সম্পাদক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি হিমেলুর রহমান হিমেল সহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামীলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীরের ৫০ লাখ টাকা ত্রাণ গ্রহণের ভুয়া চেকের ছবি দিয়ে গুজব ছড়ানো হয়। এরকম পোস্ট এখানে দেখুন। ফেসবুকে উক্ত চেকটির সাথে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তার সহধর্মিণীর ছবি জুড়ে লেখা ফটোকার্ড তৈরি করে লেখা হয় ” প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে বিদেশ ভ্রমণে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর”।
প্রধানমন্ত্রী দফতর থেকে অনুদান হিসেবে দেওয়া এর আগের চেকের সাথে এই চেকটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি।
১. প্রথমত পিএম রিলিফ ফান্ড (PM Relief fund) নামে সোনালি ব্যাংকে কোনো একাউন্ট নাই ।
২. সোনালী ব্যাংকের প্রধানমন্ত্রী দফতরের শাখার নাম মূলত প্রাইম মিনিস্টার’স অফিস ব্রাঞ্চ (Prime Ministers Office Branch)। সোনালী ব্যাংকের তেজগাঁও নামে কোন ব্রাঞ্চ নেই।
৩. চেকের রাউটিং নাম্বার যেটি দেওয়া আছে ঐ নাম্বারে সোনালী ব্যাংকের কোন রাউটিং নাম্বার নাই। প্রধানমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ডের ব্রাঞ্চের রাউটিং নাম্বার – 200263739
৪. চেকের নিচে রাউটিং নাম্বারের সাথে উপরের রাউটিং নাম্বারের মিল নেই।
৬. চেকটির একাউন্ট নাম্বারের সাথে নিচের একাউন্ট নাম্বারের মিল নাই।
উপরের ফ্যাক্টগুলো বিবেচনায় নিলে এটা প্রতীয়মান হয় যে, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ত্রাণ গ্রহণের চেক সম্বলিত যে ভুয়া ফটোকার্ড ছড়ানো হয়েছে তা মিথ্যা।
সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উক্ত চেক সম্পর্কে মানবজমিনকে বলেন, এটা নোংরামি ছাড়া আর কিছু নয়। মির্জা ফখরুল বাপের জমি বিক্রি করে চিকিৎসা ও রাজনীতি করে। আমাকে কেনা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, বিরোধী রাজনীতিবিদদের চরিত্র হননের এক জঘন্য খেলায় মেতেছে সরকার ।
এছাড়া চেকের সত্যতার বিষয়ে জানতে চাইলে রবিবার (২৭ আগস্ট) রাতে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইয়ের ডিপিএস হাসান জাহিদ তুষার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এটি সত্য নয়।’ বাংলা ট্রিবিউনের সংবাদটি এখানে দেখুন।