সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান স্মিথ কোজেনারেশন (বাংলাদেশ) প্রাইভেট লিমিটেডের সালিসি মামলায় অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়ার একটি আদালত। গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় চালানো হচ্ছে বিভ্রান্তিকর প্রোপাগাণ্ডা। এসব প্রোপাগান্ডা মূলক পোস্টে দাবি করা হচ্ছে দুর্নীতিতে জড়ানোর কারণে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে ও এখানে।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও মামলা সম্পর্কে সত্য যা জানা যাচ্ছে:
মূলত ১৯৯৭ সালে স্মিথ কোজেনারেশন বাংলাদেশের সঙ্গে একটি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। এসময় ক্ষমতায় ছিলো আওয়ামীলীগ সরকার। দেশের উত্তরাঞ্চলে একটি বার্জ-মাউন্টেড বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য তখন অনুমতি দিয়েছিল সরকার। ১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার চুক্তিটি বাতিল করে। পরে ২০০৬ সালে স্মিথ কোজেনারেশন ক্ষতিপূরণ দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা করে। কোম্পানিটি বাংলাদেশ সরকারের কাছে ৩ কোটি ১৯ লাখ মার্কিন ডলারের ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে। বিচারক কার্ল জে নিকোলস স্মিথ মামলার বিষয়টি নিষ্পতির জন্য বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে আদালতে হাজির করতে ইউএস মার্শাল সার্ভিসকে নির্দেশ দেন। এ ব্যাপারে দেশি ও বিদেশী মিডিয়ায় প্রকাশিত কয়েকটি প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে ও এখানে।
অবশ্য রোববার (২৭ অক্টোবর) বাংলাদেশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা স্থগিত করেছেন ওয়াশিংটনের একটি আদালত।
পূর্বে আদালত যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলো সেটি অর্থ উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণরের বিরুদ্ধে তোলা কোন ব্যাক্তিগত অভিযোগের কারণে নয়। যে অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে সে ঘটনাটিও বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে ঘটেনি।