ড. ইউনুসের সরকার নিয়ে বিশ্বব্যাংকের বরাতে আনন্দবাজারের মিথ্যা সংবাদ

 ড. ইউনুসের সরকার নিয়ে বিশ্বব্যাংকের বরাতে আনন্দবাজারের মিথ্যা সংবাদ

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রকাশিত বাংলা সংবাদপত্র আনন্দবাজার পত্রিকা গত শনিবার (২৬ অক্টোবর) ”ইউনুসদের কাজে অসন্তুষ্ট বিশ্বব্যাঙ্ক” শিরোনামে একটি  প্রতিবেদন প্রকাশ করে। পত্রিকাটির মুদ্রিত সংস্করণের ১৬ নং পাতায় এবং অনলাইন ভার্সনে প্রকাশ করা হয় প্রতিবেদনটি।

শিরোনামে অন্তর্বর্তী সরকারকে ইঙ্গিত করে বিশ্বব্যাংকের অসন্তুষ্টির কথা বলা হলেও মূল প্রতিবেদনে এমন কিছু খুঁজে পাওয়া যায় না যাতে মনে হতে পারে বিশ্ব ব্যাংক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজে অসন্তুষ্ট। বিশ্ব ব্যাংকের যে প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার প্রতিবেদনটি ছাপিয়েছে তাতেও এমন কিছু খুঁজে পাওয়া যায় না।

প্রতিবেদনের এক জায়গায় অপ্রাসঙ্গিকভাবে উল্লেখ করা হয়, “অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি জাতীয় ৮টি দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এগুলির অন্যতম ১৭ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিবসে শিশু দিবস, ১৫ অগস্ট শেখ মুজিবের মৃত্যুদিনে জাতীয় শোক দিবস, ৭ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দিবস।”

দিবস বাতিল করা বাংলাদেশের একটি আভ্যন্তরিণ রাজনৈতিক বিষয়। অর্থনীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনে রাজনৈতিক বিষয়াবলীর উল্লেখে স্পষ্ট হয় প্রতিবেদনটির রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে।

প্রতিবেদনে বিশ্ব ব্যাঙ্কের ঢাকা অফিসের শীর্ষ পর্যায়ের অর্থনীতিবিদ ধ্রুব শর্মার বরাতে বলা হয়, “চলতি বছরে খাদ্যের দাম ৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য দিকে, চলতি অর্থ বছরে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি কমে হচ্ছে ৪ শতাংশ।”

এ বক্তব্যটিতে যা দাবি করা হয়েছে তা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা। বিশ্বব্যাংকের ডেভেলপমেন্ট আপডেট অক্টোবর সংখ্যায় উল্লেখ করা হয়েছে সর্ম্পূর্ণ ভিন্ন তথ্য।

এতে উল্লেখ করা হয়, চলতি বছরে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি বিগত ১৩ বছরে সর্বোচ্চ ১৪.১ শতাংশে পৌঁছায় যা আগস্টে কমে ১০.৫ শতাংশ হয়। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তথা জিডিপি সম্পর্কে বিশ্ব ব্যাংকের রিপোর্টে বলা হয়, বাংলাদেশের জিডিপি বৃদ্ধি ৫.২ শতাংশে থাকবে যা ২০২৩ অর্থবছরে ৫.৭ শতাংশ ছিলো।

এ প্রতিবেদনটি যারা প্রস্তুত করেছেন ধ্রুব শর্মা তাদের একজন।

ফলে আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায় প্রতিবেদনটি বিভ্রান্তিকর শিরোনাম ও মিথ্যা তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে।