বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক ঢাবি সভাপতি মির্জা গালিব ব্যাচমেট ছিলেন বলে একটি মিথ্যা দাবি সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। মূলত ছাত্রদল সভাপতি রাকিব ২০০৬-০৭ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিদ্যা বিভাগে স্নাতকে ভর্তি হন। অন্যদিকে সাবেক শিবির নেতা গালিব ২০০৫ সালে ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। অর্থাৎ মির্জা গালিব স্নাতক শেষ করারও দুই শিক্ষাবর্ষ পর রাকিব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
মির্জা গালিব ও রাকিবুল ইসলামের ব্যাচমেট হওয়া সংক্রান্ত মিথ্যা দাবির কয়েকটি ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ লিংক), এখানে (আর্কাইভ লিংক), এখানে (আর্কাইভ লিংক) ও এখানে (আর্কাইভ লিংক)।
সাবেক শিবির নেতা মির্জা গালিব বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির ওয়েবসাইটে মির্জা গালিবের যে প্রোফাইল ও জীবন বিত্তান্ত দেয়া রয়েছে তাতে উল্লেখ রয়েছে গালিব ২০০৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন এবং ২০০৭ সালে একই বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
অন্যদিকে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবকে নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায় রাকিব ২০০৬-০৭ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিদ্যা বিভাগে স্নাতকে ভর্তি হন। রাকিবের জন্ম ১৯৮৮ সালে। তিনি ২০০৩ সালে বিজ্ঞান বিভাগে মাধ্যমিক এবং ২০০৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। রাকিবের পরিচয় নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে দৈনিক যুগান্তর (আর্কাইভ লিংক) ও কালবেলা (আর্কাইভ লিংক)।
মির্জা গালিবের কাছে ফ্যাক্ট অর ফলস মেইল করে তার জন্মসাল জানতে চাইলে ফিরতি মেইলে জানান তিনি ১৯৮২ সালে জন্ম গ্রহণ করেন এবং ১৯৯৭ সালে মাধ্যমিক ও ১৯৯৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন।
সে হিসেবে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম মির্জা গালিবের চেয়ে বয়সে ৬ বছরের ছোট।
এর আগেও মির্জা গালিবের ব্যাপারে মিথ্যা দাবি ছড়িয়ে পড়েছিল যে তিনি হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন এবং ঢাবিতে স্নাতক পর্যায়ে তার বিভাগে রেকর্ড মার্ক পেয়েছিলেন যা এখন পর্যন্ত কেউ পায়নি। মির্জা গালিব নিজে এমন দাবিকে অসত্য বলে দাবি করেছেন। তবে তিনি তার বিভাগে স্নাতকে ও স্নাতকোত্তরে প্রথম বিভাগে প্রথম হয়েছিলেন। এ সম্পর্কিত ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন দেখুন এখানে।