গত জুলাই মাসের ২৯ তারিখে ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে অবস্থান কর্মসূচী পালন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল -বিএনপি। এই কর্মসূচীর দিন ঢাকায় কয়েকটি বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া যায়। আওয়ামীলীগ নেতারা দাবি করছেন বিএনপি বাসগুলোতে অগ্নিসংযোগ করেছে।
অপরদিকে পুলিশের উপস্থিতিতে বাসে অগ্নিসংযোগ হয়েছে দাবি করে বিএনপি বলছে, বিএনপির উপর দোষ চাপাতে এটি সরকারেরই কারসাজি ছিল। তবে একটি অডিও ক্লিপ ফাঁসের বরাত দিয়ে ওইদিন বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায় চৌধুরী বাসে অগ্নিসংযোগ করতে কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন বলে দাবি করেন সরকারের একাধিক মন্ত্রী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ দাবি করেন ওইদিন নিপুণ রায় বাসে অগ্নিসংযোগ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
খবরটিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা কিছুক্ষণ আগে বিএনপির এক নেত্রী নিপুণ রায়ের ফেসবুকে একটি অডিও শুনেছি। তিনি বলছেন, ‘তোমরা আগুন ধরাও। এগুলো আমাদের দেখাতে হবে। জায়গা মত দেখাতে হবে। অপরদিকে তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, বিএনপি নেত্রী নিপুন রায়ের অডিও বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তিনি আগুন দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছে। আবার বলছেন, এটা একটু ভিডিও করে রাখেন, জায়গা মতো পাঠাতে হবে। অর্থাৎ তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে পাঠাতে হবে’, যোগ করেন তিনি।
তবে যে ফোনালাপ ফাঁসের বরাতে মন্ত্রীদয় এ দাবি করেন যাচাই করে জানা গেছে ফোনালাপটি মূলত ২ বছর আগের। ২০২১ সালের ২৮ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা হরতালের ডাক দেয় হেফাজতে ইসলাম। ওই হরতালে নিপুণ রায় অগ্নিসংযোগ করার নির্দেশনা দিয়েছেন দাবি করে একটি ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়ে।
ডিবিসি, একুশে টেলিভিশন, একাত্তর টেলিভিশন, নিউজ২৪সহ একাধিক সংবাদমাধ্যম ফোনালাপটি নিয়ে সংবাদ প্রচার করে তখন। সেই সব সংবাদের সাথে একই ফোনালাপটি তখন প্রচার করা হয়।। সেদিনই নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগ এনে নিপুণ রায় চৌধুরীকে র্যাব গ্রেফতার করেছিল তখন। সেসময়ে বিএনপি থেকে জানানো হয়েছিল, এডভোকেট নিপুন রায়ের এই বক্তব্যটি ‘এডিটেড’।