সম্প্রতি পাবনার ঈশ্বরদীতে পাবনা-৪ আসনের জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডলের নির্বাচনি প্রচারণায় বিএনপি প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পাবনা-৪ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডলসহ উভয় দলের অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষে অস্ত্র হাতে প্রকাশ্যে গুলি করতে দেখা যায় এক যুবককে। বিএনপি দাবি করছে ওই যুবক জামায়াতের কর্মী অন্যদিকে জামায়াত দাবি করছে ওই যুবক বিএনপির কর্মী।
বিএনপির দাবিতে পোস্ট দেখুন এখানে
জামায়াতের দাবিতে পোস্ট দেখুন এখানে
ইতোমধ্যে কয়েকটি গণমাধ্যম অস্ত্র হাতে প্রকাশ্যে গুলি চালানো যুবকের পরিচয় প্রকাশ করেছে। কালবেলার সূত্রমতে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ভাইরাল যুবকের নাম তুষার মণ্ডল। তিনি ঈশ্বরদী পৌর শহরের ভেলুপাড়া এলাকার তাহের মণ্ডলের ছেলে ও পাবনা জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডলের ভাতিজা মামুন মণ্ডলের অন্যতম সহচর।
সম্প্রতি সোস্যাল মিডিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর নেতা তালেব মণ্ডলের ভাতিজা মামুন মণ্ডলের সাথে তুষার মন্ডলের একটা ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। যাচাইয়ে দেখা গেছে অস্ত্র হাতে যুবক আর ওই যুবক একই ব্যক্তি।
প্রথমত একটি ভিডিওতে দেখা যায় গুলি ছোড়া যুবক তুষার মন্ডলের পাশেই ছাত্রশিবির লেখা জার্সি পরা আরেক যুবককে যিনি মোবাইলে ভিডিও ধারণ করছিলেন। তারই পাশে বাদামী রঙের কোট পরা যুবক স্টিলের স্টিক হাতে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।
অন্য একটা ভিডিওতে নারায়ে তাকবীর বলে স্লোগান দিতে দেখা যায় কয়েকজনকে যেখানে বাদামী রঙের কোট পরা যুবক উপস্থিত ছিলেন। জামায়াতের লোকজনই স্লোগানটি দেন। ভিডিওর শেষের দিকে একজনকে বলতে শোনা যায় জেলা আমির কোথায়। ছাত্র শিবির লেখা জার্সি পরা যুবককেও সেখানে দেখা যায়।
আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায় বেশ কিছু মোটরসাইকেল নিয়ে জামায়াতের লোকজন দাঁড়িয়ে আছে কয়েকজনের হাতে স্টিলের স্টিক তারা বেশ উত্তেজিত অবস্থায় আছে।তাদের মাঝেও তুষার মন্ডলকে দেখা যায়।
ভিন্ন আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায় জামায়াতের গাড়িবহরের সাথেই দৌড়ে সামনের দিকে যাচ্ছে তুষার মন্ডল।
অন্যদিকে জামায়াত দাবি করছে জামায়াতের নির্বাচনী প্রচারণায় অস্ত্র হাতে থাকা যুবক তুষার হোসেন পাবনা শহীদ বুলবুল কলেজ ছাত্রদলের পাঠাগার সম্পাদক।কিন্তু দেখা গেছে শহীদ বুলবুল কলেজ ছাত্রদলের কমিটিতে এই নাম কিংবা এমন কোন পদবীর উল্ল্যেখ নেই।
দেখুন এখানে
