সম্প্রতি,‘কুমিল্লার দাউদকান্দিতে যুবদলের চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসীরা চাঁদা না পেয়ে নবদম্পতি তরুণ তরুণীকে নিজ বাসায় বিবস্ত্র ও নির্যাতন করে ভিডিও ধারণ’- শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে এখানে এখানে।
ছড়িয়ে পড়া এসব ভিডিওতে আরও দাবি করা হয়েছে, বিএনপির চাঁদাবাজ ছাত্রদল, যুবদল, সেচ্ছাসেবক দলের সন্ত্রাসীদের হাতে নিজ ঘরে নারী–পুরুষ নিরাপদ নয় । বিএনপির ২০০১–২০০৬ সালের নৈরাজ্য আবার পুনরাবৃত্তি শুরু হয়ছে,ক্ষমতায় আসার আগেই এই অবস্থা, আর যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে দেশ শেষ।
তবে যাচাইয়ে দেখা যায়, প্রচারিত এ ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় এবং এর সঙ্গে বিএনপি বা অঙ্গসংগঠনের সম্পৃক্ততা ভিত্তিহীনভাবে প্রচার করা হয়েছে।
এসব ভিডিওর কিছু কি–ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে দৈনিক আমাদের সময়ে ২০২৩ সালে প্রকাশিত ‘তরুণ–তরুণীর নগ্ন ভিডিও ভাইরাল, অপরাধীদের খুঁজছে পুলিশ’-শীর্ষক একটি প্রতিবেদনের মিল খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ছবির সাথে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে থাকা যুবকদের মুখমণ্ডল, পোশাক, ঘরের আসবাব, দেয়াল এসবের সাদৃশ্য রয়েছে। ওই প্রতিবেদনে কুমিল্লার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নানের বরাতে জানানো হয়, ভিডিওটি ২০২২ সালের ঘটনার। যেটি প্রায় দেড় বছর পর ২০২৩ সালে ভাইরাল করা হয়। পুলিশ জানায়, অভিযুক্তদের শনাক্ত করা গেলেও ভুক্তভোগী তরুণ–তরুণীদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
উক্ত সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কী–ওয়ার্ড সার্চ করে সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম–এর ওয়েবসাইটে ২০২৩ সালের ২২ ডিসেম্বর প্রকাশিত “ কুমিল্লায় যুগলকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, দেড় বছর পর ভিডিও ‘ভাইরাল’-শীর্ষক শিরোনামে একই তথ্য জানা যায়। কোন খবরেই অভিযুক্তদের রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
একই ভিডিও চলতি বছরের এপ্রিলেও বিভিন্ন দাবিতে প্রচার করা হয়। এ নিয়ে সেসময় আমাদের যাচাই করা ফটোকার্ডটি দেখুন এখানে..

সম্প্রতি একই ভিডিও আবারও নতুন করে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।
অর্থাৎ পুরোনো একই ভিডিওকে “বিএনপিকর্মীরা চাঁদা না পেয়ে তরুণ তরুণীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন”-শিরোনামে সাম্প্রতিক সময়ের দৃশ্য দাবিতে বারবার প্রচার করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।