জুলাই-আগস্ট গণআন্দোলনের অন্যতম একজন নেতা সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার পরীক্ষার হলে নকল করতে গিয়ে শিক্ষকের হাতে ধরা পড়েছেন এমন একটি দাবি সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে। এ সংক্রান্ত পোস্টগুলোতে দাবি করা হয় নকল করার কারণে একজন শিক্ষক বাকেরের খাতা নিয়ে নেন এবং এ ঘটনায় তাকে বহিষ্কার করা হতে পারে। এরকম দু’টি পোস্ট দেখুন এখানে ও এখানে।
সত্য যা জানা গেলো
আবু বাকের মজুমদার নকলসহ ধরা পড়েছেন দাবি করে যে পোস্টগুলো করা হয় সেগুলোতে উল্লেখ করা হয় গত ২৩ অক্টোবর ভূতত্ব বিভাগের চতুর্থ বর্ষ ফাইনালের GHL-415 কোর্সের পরীক্ষা চলাকালে নকল করতে গিয়ে বাকের অধ্যাপক এ এস এম ওবায়দুল্লাহ’র হাতে ধরা পড়েন। এ সময় সেখানে অধ্যাপক মাইনুল কবির ও লেকচারার ফরহাদ হোসাইনও উপস্থিত ছিলেন।
আসলেই এমন ঘটনা ঘটেছে কিনা তা জানতে ফ্যাক্ট অর ফলস্ উপরোল্লিখিত ৩ জন শিক্ষকের সাথেই কথা বলেছে।
অধ্যাপক ওবায়দুল্লাহ আমাদের বলেন, ”এরকম কোন ঘটনাই ঘটেনি।”
লেকচারার ফরহাদ হোসাইন বলেন, “এধরণের ঘটনা ঘটেনি। আমরা কয়েকজন স্টুডেন্টকে তুলে নিয়ে এখান থেকে ওখানে বসিয়েছি। বাট বাকের সেটার মধ্যে ছিলোই না। এটা কিভাবে কী হইছে আই ডোন্ট নো।
অধ্যাপক মাইনূল কবীর বলেন, “না, না বাকেরের সাথে এমন কিছু হয়ইনি। এটা জাস্ট প্রোপাগান্ডা।”