নিউজচেকারের ফ্যাক্ট-চেক প্রতিবেদন:
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ১ মিনিটের ভিডিও শেয়ার করা হচ্ছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে যে বাংলাদেশে মুসলিমরা শতাধিক সংখ্যায় একত্রিত হয়ে একটি হিন্দু মন্দির ভাঙচুর করেছে। এমনই একটি পোস্টে লেখা হয়েছে, “দেখুন, কিভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে হিন্দু মন্দির ভাঙচুর করা হচ্ছে এবং হিন্দু ভক্তদের মারধর করা হচ্ছে। অথচ পুরো বিশ্ব এ বিষয়ে নীরব,”
এই ভাইরাল পোস্টের আর্কাইভ ভার্সনে দেখা গেছে, এটি এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৭১ হাজার বার দেখা হয়েছে।
যাচাই নিউজচেকার লক্ষ্য করেছে, কিছু একাউন্ট দাবি করেছে এটি সুফি দরগায় ভাঙচুর চালানোর পুরনো ভিডিও। এই তথ্য আমাদের সন্দেহ বাড়ায়।
ভিডিওর মূল ফ্রেমগুলোর উপর রিভার্স ইমেজ সার্চ চালিয়ে আমরা দেখতে পাই একই ভিডিও ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ফেসবুকে আপলোড করা হয়েছিল। এতে উল্লেখ ছিল যে এটি সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুরের হযরত আলী পাগলা দরগার ঘটনা। এখানে ও এখানে অনুরূপ ভিডিও পাওয়া যায়, যা নিশ্চিত করে যে ভিডিওটি কমপক্ষে তিন মাস পুরনো।
এরপর আমরা ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে ইউটিউবে ঢাকার মাছরাঙ্গা টিভির একটি খবর খুঁজে পাই, যেখানে বাংলাদেশজুড়ে সুফি দরগায় ভাঙচুরের ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। কালবেলা ও বিডিনিউজের খবরেও এ ব্যাপারে জানা যায় ১, ২।
কাজীপুর উপজেলার শালগ্রাম তমিজউদ্দিন বাড়ির পাশে জামা মসজিদের সামনে ২৯ আগস্ট হযরত আলী পাগলা দরগা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে কালবেলা পত্রিকার ৩১ আগস্ট ২০২৪ তারিখের প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে। স্থানীয় সূত্র মতে, ইমাম গোলাম রাব্বানী ও তার দল এই দরগা ভাঙচুর করেন।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ৩ সেপ্টেম্বর হারিপুর গ্রামে ইসমাইল পাগলা দরগায় ভাঙচুর চালানো হয়। এর আগে, ২৯ আগস্ট কাজীপুরের আলী পাগলা দরগা একইভাবে আক্রান্ত হয়। ভিডিওগুলোতে হামলাকারীদের হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে দরগার দেয়াল ও ছাদ ভাঙার দৃশ্য দেখা গেছে।
সূত্র: নিউজচেকার