এই ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি, সি’রি’য়ার কারাগারের নয়

 এই ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি, সি’রি’য়ার কারাগারের নয়

একটি ভিডিওর স্ক্রিণশটে দেখা যাচ্ছে সিরিয়ার পতিত শাসক বাশার আল-আসাদের শাসনের সময়কার কুখ্যাত  কারাগার থেকে একজন বন্দিকে মুক্ত করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেটি বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বহু দেশে ভাইরাল হয়েছে।

স্ক্রিণশটটি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, এই বন্দি সেই হাজারো নিখোঁজ ব্যক্তিদের মধ্যে একজন, যারা ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধ কিংবা আসাদ পরিবারের অর্ধশতাব্দীর শাসনের সময়ে গোপন কারাগারে বন্দি ছিলেন এবং কয়েক দশক পরে সূর্যের আলো দেখেছেন। অনেক পোস্টে দাবি করা হচ্ছে এ ব্যাক্তি ছিলেন একজন পাইলট এবং তার নাম রাগিদ আল তাতারি। আশির দশকে বাশার আল আসাদের পিতা হাফিজ আল আসাদের সময়ে প্রতিবাদীদের মিছিলে বোম্বিং করতে অস্বীকার করায় তাকে কারান্তরিণ করা হয়েছে এবং ৪৩ বছর তিনি সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছেন। জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা আব্দুল হাই সাইফুল্লাহ ছবিটি যুক্ত করে এমন একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তার ফেসবুক একাউন্টে

এরকম আরও কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানেএখানে

ফ্যাক্টচেক

ছবিটি মূলত একটি টিকটক ভিডিওর স্ক্রিণশট, যেখানে একজন বন্দিকে তার সেল থেকে বের হতে দেখা যাচ্ছে। স্ক্রিণশট ও ভিডিওর অস্পষ্ট মান, বিস্তারিত তথ্যের অভাব এবং অস্বাভাবিক গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় যে ভিজ্যুয়ালটি এআই-প্রসেসড হতে পারে।

এআই-কনটেন্ট শনাক্তকরণ টুল truemedia’র মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখা যায় এতে কারসাজি রয়েছে।

ভাইরাল হওয়া পাঁচ সেকেন্ডের ভিডিওটি টিকটক অ্যাকাউন্ট @sanzaruu থেকে এসেছে বলে পাওয়া যায়।

অ্যাকাউন্টটির মালিক ভিডিওটি ৪ ডিসেম্বর আপলোড করেছেন, যা ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো দামেস্কে প্রবেশের আগের এবং সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পলায়নের কিছু দিন পূর্বের। ভিডিও নির্মাতা স্পষ্টভাবে ভিডিওটিকে এআই দিয়ে তৈরি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে ভাইরাল ভিডিও এবং ছবিটি ডিজিটালি তৈরি। আমরা দেখতে পেয়েছি যে কনটেন্ট নির্মাতার বায়োতে লেখা আছে, “হ্যাঁ, সবকিছুই এআই; আসুন, তার অ্যাকাউন্টে নিয়মিত এআই-প্রসেসড ভিডিও আপলোড করা হয়।”