সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে যে, খিলগাঁও থানা যুবদলের প্রচার সম্পাদক হাসিবুল এক তরুণীকে অপহরণ করে তার পরিবারের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে। শেয়ারকৃত এসব পোস্টে আরও দাবি করা হচ্ছে, মেয়েটিকে ফেরত পেতে পরিবারটি এখন চরম অসহায় ও দিশেহারা অবস্থায় রয়েছে। ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে এখানে এখানে।
তবে যাচাইয়ে দেখা যায়, ভিত্তিহীনভাবে দাবিটি প্রচার করা হয়েছে এবং এর সঙ্গে বিএনপি বা এর অঙ্গসংগঠনের সম্পৃক্ততা নেই।
এসব ভিডিওর কিছু কী–ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে দেখা যায়, Fulgazir Talash নামের একটি ফেসবুক আইডিতে ৯ জুন ২০২৫ তারিখে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। ৬ মিনিট ১৮ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের এই ভিডিওটি পরবর্তীতে ফেসবুকের বিভিন্ন আইডি থেকে পুনরায় শেয়ার ও প্রচার করা হয়। বিশ্লেষণে স্পষ্ট হয় যে, সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি মূল ভিডিওর কিছু অংশ কেটে ভিন্ন দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
ভিডিওর ভেতরের বক্তব্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ঘটনাটি ফেনী শহরের মহিপাল সার্কিট হাউজ সড়কে সংঘটিত। এটি আসলে দাম্পত্য বিরোধ থেকে সৃষ্ট এক পারিবারিক কলহ। সেখানে এক নারী ও পুরুষের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ তর্ক–বিতর্ক চলছিল। পুরুষটি দাবি করেন, ওই নারী এখনও তার বৈধ স্ত্রী এবং তাদের দুই সন্তান রয়েছে। অন্যদিকে নারীটি জানান, তারা ইতোমধ্যে তালাকপ্রাপ্ত। ভিডিও ধারণকারীর প্রশ্নোত্তরে আরও জানা যায়, উভয়ের বাড়ি চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলায়। এক পর্যায়ে পুরুষটি ওই নারীকে জোর করে তার নিজের গাড়িতে তোলার চেষ্টা করেন।
অর্থাৎ, দাম্পত্য বিরোধের পুরোনো একটি ঘটনার ভিডিওকে বিকৃত করে ‘খিলগাঁও থানা যুবদলের নেতা অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবি করেছেন’— এমন ভিন্ন দাবি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যাচাইয়ে দেখা গেছে, ভিডিওটির সঙ্গে অপহরণ বা মুক্তিপণ দাবির কোনো সম্পর্ক নেই এবং এ ঘটনায় রাজনৈতিক কোনো সম্পৃক্ততাও পাওয়া যায়নি।
