পাবনায় গুলি চালানো যুবক জামায়াত প্রমাণিত, তবু ফেসবুক পোস্ট সরাননি জামায়াত আমির

ফ্যাক্ট অর ফলস টিম

পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে গত ২৭ নভেম্বর বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে অস্ত্র হাতে প্রকাশ্যে গুলি করতে দেখা যায় এক যুবককে।  প্রাথমিকভাবে ছবিটি মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘জামায়াত প্রার্থীর ওপরে বিএনপির হামলা’ ঘটনায় অস্ত্রের ছবি হিসেবে প্রচার ঘটে। 

দেখুন এখানে

এরপর ছবির ব্যক্তির পরিচয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পক্ষে-বিপক্ষে নানারকম দাবি ছড়াতে দেখা যায়।  কেউ কেউ জামায়াত কর্মী হিসেবে দাবি করেন। আবার কেউ কেউ তাকে বিএনপির লোক হিসেবে দাবি করেন। বেশকিছু পোস্টে তাকে পাবনা বুলবুল কলেজের শাখা ছাত্রদলের পাঠাগার সম্পাদক হিসেবে দাবি করা হয়। 

এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমান তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে উক্ত ঘটনার পর একটি পোস্ট দেন। যেখানে অস্ত্র হাতে যুুবককে বিএনপি কর্মী হিসেবে দাবি করা হয়।

পোস্টের একাংশে তিনি উল্লেখ করেন, “বিএনপির দলীয় প্রার্থীর অসহিষ্ণু, অগণতান্ত্রিক ও উস্কানিমূলক বক্তব্য এবং কর্মকাণ্ড বারবার প্রমাণ করছে— এটি ব্যালটের যুদ্ধ নয়; বরং বুলেট দিয়ে তিনি তার সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চান।”

দেখুন এখানে (আর্কাইভ)

তবে ফ্যাক্ট অর ফলস-এর অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে অস্ত্রধারী ওই ব্যক্তি জামায়াতের মিছিলে অংশ নেন এবং জামায়াতের মিছিল থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর গুলি চালান। 

এছাড়া পহেলা  ডিসেম্বর পাবনার ঈশ্বরদীতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করা তুষার হোসেন নামের সেই তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গণমাধ্যমের খবরেও তার  জামায়াত সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি প্রকাশ পায়। দেখুন এখানে  

 

সর্বশেষ গত পহেলা ডিসেম্বর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি পিস্তল ও দু’টি বুলেট উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে জামায়াতের কর্মী হিসেবে শনাক্ত করে পুলিশ। 

ঈশ্বরদী থানার ওসি আ স ম আবদুর নূর প্রথম আলোকে জানান, ঘটনার পর ওই যুবকের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ তাঁর পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করে। তিনি জামায়াতের কর্মী বলে জানা গেছে।

ফ্যাক্টচেকিং, গণমাধ্যমের খবর ও পুলিশের দাবি অনুসারে গুলি বর্ষণকারী যুুবক তুষার জামায়াত কর্মী বলে প্রমানিত হওয়ার পরও উক্ত ঘটনায় বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমানের দেওয়া  ফেসবুক পোস্টটি তিনি সরিয়ে নেননি। 

Facebook
LinkedIn
Twitter
Pinterest

সম্পর্কিত পোস্ট